বাজারের আমে কয়েকটি ধাপে দেয়া হচ্ছে কয়েকপ্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। যা আমাদের প্রিয় ফলকে করে তুলছে বিষযুক্ত। আমরা ফলমূলের সাথে বাজার থেকে কিনছি বিষ। এই বিষযুক্ত ফল খেয়ে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি জটিল সব রোগের আক্রমণে। এইসব বিষাক্ত ফল দীর্ঘমেয়াদে আমাদের দেহে খুবই মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এর ফলে লিভার ও কিডনি রোগ, এমনকি ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তাহলে কি ফল খাওয়া ছেড়ে দেব আমরা? না, আমরা ফল খাওয়া ছাড়বনা, বিষ খাওয়া ছাড়ব। বিষযুক্ত ফলের এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম চাকলাদার হাতে নিয়েছেন এক অনন্য উদ্যোগ। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জমি কিনে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক উপায়ে আম বাগান গড়ে তুলেছেন। এই আম বাগানগুলো শহরের ব্যস্ত মানুষের কাছে জমিসহ হস্তান্তর করে অভিনব দৃষ্টান্ত গড়েছেন তিনি। বাগান পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও নিচ্ছেন তিনি। এই বাগানে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত উপায়ে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন জাতের আম। সেই আম আবার শহরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।
- সাব কবলা রেজিস্ট্রিকৃত ৫ শতাংশ নিষ্কণ্টক জমির মালিকানা যার মূল্য বাগান গড়ার সাথে সাথেই বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।
- রেজিস্ট্রেশন খরচ আমরাই বহন করবো।
- রেডিমেইড ফলের বাগান।
- প্রথম ২ বছর পরিচর্যা ব্যয় সম্পূর্ণ ফ্রী
- বুকিং দেয়ার দ্বিতীয় মৌসুম থেকেই ফল পাওয়ার সুযোগ।
- ঘরে বসে বিষমুক্ত ফল প্রাপ্তির নিশ্চয়তা। গাছ থেকে ফল পাড়ার পর সামান্য পরিবহন খরচের বিনিময়ে আপনার বাগানের ফল ঢাকায় আমাদের অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দেব আমরা। বিশেষ ক্ষেত্রে আপনার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
- একবার আমাদের খরচে উন্নত ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব বাংলোয় থেকে বাগান দেখা সহ উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য দেখার আমন্ত্রণ।
- তৈরি হবে হালাল আয়ের সুযোগ।
- নামমাত্র পরিচর্যা ব্যয়ের বিনিময়ে গাছ রোপণ, পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের সমস্ত দায়-দায়িত্ব আমরাই নিচ্ছি।
- আপনার পরামর্শক্রমে অতিরিক্ত ফল বাগান থেকে বা ঢাকায় বিক্রির ব্যবস্থাও আমাদের।
- লাইভ ভিডিও কলের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার বাগান।
আমাদের বাগান ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাজারদেহা ও মসলন্দপুর গ্রামে এবং রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর গ্রামে অবস্থিত। আমরা সাধারণত বিমান যোগে আমাদের বাগান গ্রহীতাদের নিয়ে যাচ্ছি। যা ঢাকা শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সৈয়দপুর বিমান বন্দর পৌছাতে সর্বোচ্চ ৫৫ মিনিট সময় লাগে। সেখান থেকে আমরা আমাদের নিজস্ব পরিবহণ ব্যাবস্থায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে আমাদের প্রকল্পের রিসোর্টে নিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও উন্নত মানের বাস এবং সরাসরি ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।উভয় পথে নির্ধারিত প্যাকেজ মূল্যের মধ্যে একবার যাওয়া আসার সকল খরচ আমরাই বহন করব।
Please contact us for detailed pricing
আমরা সাধারণত বিমান যোগে আমাদের বাগান গ্রহীতাদের নিয়ে যাচ্ছি। যা ঢাকা শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সৈয়দপুর বিমান বন্দর পৌছাতে সর্বোচ্চ ৫৫ মিনিট সময় লাগে। সেখান থেকে আমরা আমাদের নিজস্ব পরিবহণ ব্যাবস্থায় ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে আমাদের প্রকল্পের রিসোর্টে নিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও উন্নত মানের বাস এবং সরাসরি ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।উভয় পথে নির্ধারিত প্যাকেজ মূল্যের মধ্যে একবার যাওয়া আসার সকল খরচ আমরাই বহন করব।
আমাদের বাগান ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাজারদেহা ও মসলন্দপুর গ্রামে এবং রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর গ্রামে অবস্থিত।
আমাদের দুইটি জোন/ব্লক আছে। একটি ব্লকে আমাদের কৃষিবিদদের তত্ত্বাবধানে আম, লিচু ও মাল্টা বাগান গড়ে উঠেছে। এখানে আম, লিচু ও মাল্টার উৎপাদন অনেক ভাল হয় তাই কয়েক বছরের মধ্যে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফল বিক্রির মাধ্যমে ফেরত পাওয়া যাবে। আর অন্য ব্লকে আপনি চাইলে আপনার নিজের মত করে বাগান বা অন্য কিছু করতে পারবেন। তবে বাগান রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা সহ এখান থেকে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা কেবল আপনার উপরই নির্ভর করবে।
বাগান করার নিয়ম মেনেই আমরা গাছ লাগিয়েছি। কৃষিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট দুরত্বে গাছ রােপণ করা হয়েছে। বড় জাতের গাছ দু'টি ৩০ ফিট দূরত্বে আর আম্রপালি গাছের দুরুত্ব ১২ ফিট দূরত্বে লাগানাে প্রয়ােজন আমরা সেভাবেই লাগিয়েছি । বড় জাতের গাছের সংখ্যা দুটিই থাকবে। সাধারণত আম্রপালি গাছ তার পূর্ণ যায়গা দখল করতে প্রায় ৯ (নয়) বছর সময় নেয়। তাই মাঝখানের জায়গা গুলােতে আমরা অতিরিক্ত আম্রপালি গাছ দিয়েছি ৮ ফুট দূরত্বে। ৮ ফুট দূরত্বে থাকা ১৬টি অতিরিক্ত গাছ ৭-৮ বছর পর কাটা হবে (প্রয়ােজনে গাছের বৃদ্ধি সাপেক্ষে নিদিষ্ট সময়ের আগে ও পরে কাটতে হতে পারে ) অর্থাৎ আমাদের মূল গাছের কোন ক্ষতি হবে না। এতে করে আমরা দ্বিতীয় বছর থেকে ৮ম বছরের মধ্যে কয়েক গুন বেশী আমের উৎপাদন পেতে পারি। যেমনটি আমরা পুকুরে মাছ চাষের সময় দেখতে পাই প্রথমে অসংখ্য মাছের পােনা ছাড়া হয় তারপর সেই পােনা গুলাে যখন বড় হতে শুরু করে তখন অতিরিক্ত মাছ গুলােকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
যেহেতু আমরা কৃষিবিদদের পরামর্শে নির্দিস্ট দূরত্বে গাছ গুলো রোপণ করেছি এবং একটি গাছের ডাল অপর গাছের ডাল স্পর্শ করার সাথে সাথেই আমরা অতিরিক্ত গাছের ডাল ছেটে বা গাছ সরিয়ে ফেলব, তাই ফলের কোন ক্ষতি হবেনা বা আকার ছোট হবে না। আম্রপালি জাত হচ্ছে ভারতের একটি জাত যা অল্প জমিতে লাগানো যায় এবং খুব ভাল ফলন হয়। আর ভারতের ঐ অঞ্চলের মাটির সাথে ঠাকুরগাঁও জেলার মাটির অনেকাংশে মিল থাকায় বাংলাদেশের সব চাইতে ভাল আম্রপালি আমের উৎপাদন এ অঞ্চলে হয়ে থাকে। ঠাকুরগাঁও জেলার আম দেরিতে উৎপাদিত হয়। ঢাকায় তখন আমের দাম অনেক বেশী থাকে তাই ঠাকুরগাঁও জেলার আম চাষীরা অনেক লাভবান হন এবং আপনিও লাভবান হতে পারবেন।
না। সবগুলো বড় জাতের গাছ লাগানো যাবেনা। আমাদের বাগানের দৈর্ঘ্য ৬০ ফিট ও প্রস্থ ৩৬ ফিট। দুইটি বড় জাতের গাছের দূরত্ব ৩০ ফিট রাখতে হয়। বড় জাতের গাছ সর্বচ্চ ২ টি থাকবে। বর্তমানে ল্যাংড়া ও হাড়িভাঙ্গা দেয়া আছে। আপনি চাইলে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
আপনাকে বোঝানোর জন্য আমাদের ব্রুসিয়ারে একটি ধারনা দেওয়া হয়েছে যে, কোন বয়সের গাছে কি পরিমাণ ফল দিয়ে থাকে। আপনি আপনার বাগান ভিজিট করতে পারবেন বছরের যে কোন সময়। আপনি নিজেও ফল সংগ্রহ করতে পারবেন আপনার নিজস্ব বাগান থেকে। মুকুল বা ফল আসার পর আমরা বাগানের বর্তমান অবস্থার ছবি নিয়মিত আমাদের ওয়েব সাইটে অথবা আমাদের ফ্যান পেজে দিতে থাকবো। যেন আপনি বুঝতে পারেন যে কি পরিমাণ ফল আপনার বাগানে উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়াও আপনি লাইভ ভিডিও কলের মাধ্যমে আপনার বাগান সরাসরি দেখতে পারবেন। আমরা আপনাকে সর্বোচ্চ ফল দিয়ে সন্তুষ্টি রাখতে পারলে আপনার মাধ্যমে আরও কিছু বাগান বিক্রয় করতে পারবো বলে আশা করি। ফল বিক্রয় নয় বরং বাগান গড়ে দেওয়াই হল আমাদের লক্ষ্য।
আপনার জমি যেহেতু সাব-কবলা রেজিস্ট্রিকৃত সুতরাং রাষ্ট্রীয় আইন মোতাবেক আপনি বিক্রি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কোম্পানি অগ্রাধিকার পাবে। আপনি যখন বাগান বিক্রি করতে চাইবেন তখন জমির মূল্য অনেকাংশে বাড়বে বলে আশা করছি। আপনি যদি বেশী মূল্যে আপনার বাগান বিক্রি করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনিও অন্যের কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোম্পানির কোন ওজর আপত্তি থাকবে না।
ঠাকুরগাঁও জেলায় জমির প্রাপ্যতা সহজ, জমির মূল্য কম ও অল্প মূল্যে অধিক জমি পাওয়া যায়। ঠাকুরগাঁও জেলার আম দেরিতে উৎপাদিত হয় বিধায় বাজারের আমের মূল্য অনেক বেশী পাওয়া যায়।
বাগানের নিয়মিত পরিচর্যা যেমন- বাগান পরিষ্কার রাখা, জৈব সার প্রয়োগ করা, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা, পাহাড়াদারের বেতন পরিশোধ করা সহ রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য ব্যাবস্থাপনার জন্য আমরা সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকি। ফলের মৌসুমে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ এবং স্থানিও গণ্যমান্য ব্যাক্তি-বর্গকে সম্মানী ভাতা প্রদান এবং প্রতিষ্ঠানের কিছু মুনাফার জন্য আমরা ১০% ফল নিয়ে থাকি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কিছু মুনাফার প্রয়োজনে আমরা এধরনের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি। আর প্রতিষ্ঠান যখন কিছু মুনাফা পাবে তখন আপনাদের বাগানে সার্ভিস দীর্ঘ দিন প্রদান করতে উৎসাহ পাবে।
লীজ নিয়ে নয়, আমরা আমাদের জমি কোম্পানির নামে রেজিষ্ট্রি এবং কোম্পানির নামে নামজারিও করে নিয়েছি।
বাজারে যে সমস্ত ফল আসে তা কৃষকদের অজ্ঞতার কারনে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। কিন্ত আমরা নিয়ম মেনেই জৈব সার ও কীটনাশক ব্যাবহার করি। ফল ব্যাবসায়ীরা ফলের রঙ পরিবর্তনের জন্য ইথুফেন, ফল পাকানোর জন্য ক্যালসিয়াম কার্বাইট এবং ফল সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন ব্যাবহার করে থাকে। আপনার বাগানের ফল নিশ্চয়ই ক্যালসিয়াম, ফরমালিন মিশিয়ে খাবেন না। তাই আমরাও এধরণের ক্ষতিকারক ব্যাবহারের প্রয়োজন বোধ করি না।
হ্যাঁ, আপনার বাগান বা ইউনিট আমরা সাব-কবলা রেজিষ্ট্রি করে দলিলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেব। প্রতিটি বাগানের সীমানা নির্ধারণ করা আছে। যদি আপনার বাগানের চারদিকে বেড়া দেই তাহলে আপনার বাগান পরিচর্যা, চাষাবাদ কিংবা আম সংগ্রহের সময় বাগানে গাড়ি ঢুকবেনা। তাই বর্তমানে আপনাদের বাগানের মাপ নির্ধারণের জন্য আমরা খুঁটি ব্যাবহার করছি এবং প্রতিটি ইউনিটের প্লটিং নম্বর দেয়া আছে।
না। আমরা ডেসটিনির মত অন্যের জায়গায় গাছ রোপণ করি না। আমরা প্রথমে আপনার জমি বুঝিয়ে দিয়ে সেখানে গাছ লাগিয়ে দিচ্ছি। আপনি যেভাবে অন্যান্য ক্রয়কৃত জমি রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী পাচ্ছেন। আমরাও আপনাকে সেভাবে দলিলের মাধ্যমে আপনার বাগান বুঝিয়ে দিচ্ছি। ডেসটিনির সাথে আমাদের কোন সাদৃশ্য নেই।
Get our latest news in your inbox